ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাইবার অপরাধ রোধে সিম নিবন্ধন সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে একজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করা যাবে। আগে এই সংখ্যা ছিল ১৫টি।
অপরাধ দমনে ২০১৫ সালে বিটিআরসি জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সিম নিবন্ধন চালু করে। ২০১৭ সালে একজন ব্যবহারকারীর জন্য সিমের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫টি। তবে এখন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বলছে, তাদের পর্যলোচনায় তারা দেখেছেন এত বেশিসংখ্যক সিম একজন গ্রাহক ব্যবহার করেন না। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন চর্চা বিবেচনায় একজনের নামের বিপরীতে সিম সর্বোচ্চ ১০টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, অবৈধ সিম ব্যবহার রোধ, সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকদের নিজ উদ্যোগে সিম যাচাই করে অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত সিম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময়মতো ডি-রেজিস্ট্রেশন না করলে গ্রাহককে আইনগত জটিলতায় পড়তে হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে ডি-রেজিস্টার করার নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
যেভাবে অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টার করবেন:
১. প্রথমে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের হেল্পলাইনে (যেমন: ১২১) কল করুন।
২. . আপনার এনআইডি নম্বর ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিন
৩. যাচাই-বাছাই শেষে অপারেটর অতিরিক্ত বা অনাবশ্যক সিমটি বন্ধ করে দেবে
৪. এছাড়াও, নিজে গিয়ে অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে সরাসরি সেবা গ্রহণ করেও সিম ডি-রেজিস্টার করা যাবে।
উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় সিম নিজ উদ্যোগে বন্ধ না করলে তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকি ভবিষ্যতে আর্থিক লেনদেন, নিরাপত্তা বা যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন গ্রাহক।