ভারতের ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির চেয়ে বোধহয় তার স্ত্রী নিতা আম্বানিকেই মানুষ বেশি চেনেন। তার বিলাসবহুল জীবনযাপন, দামি কাপড় থেকে শুরু করে গয়না, ব্যাগ। এমনকি তার খাবার পানির দাম নিয়েও চর্চায় থাকেন। নীতা আম্বানির ব্যবহৃত সবকিছুই দামি, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বহুগুণ বাইরে।
সম্প্রতি চর্চায় এসেছে নীতা আম্বানির ব্যবহৃত শতকোটি টাকার গাড়ি। ধারণা করা হয়, ভারতের সবচেয়ে দামি গাড়িটি ব্যবহার করেন নীতা আম্বানি। যার দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গাড়িটি হচ্ছে অডি এ৯ চ্যামেলিয়ন। এই অডি গাড়িটি প্রায় ৬০০ হর্সপাওয়ার শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ বাজারে এসেছে।
গাড়িটির সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এই গাড়ির রং। কেবল একটি বোতাম টিপেই গাড়ির রং পরিবর্তন করা যায়। এই গাড়ির রঙের নকশা বৈদ্যুতিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সারাবিশ্বে এটির মাত্র ১১টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
অডি এ৯ চ্যামেলিয়নে কোম্পানিটি ৮.০ লিটারের বি৮ ইঞ্জিন সরবরাহ করেছে। এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৬০০ এইচপি শক্তি উৎপন্ন করে। ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র আধ সেকেন্ড। গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার।
এ ছাড়াও এই গাড়িতে মাত্র দুটি দরজা দেওয়া হয়েছে। এই গাড়ির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মিটার। গাড়ির উইন্ডশিল্ড ও ছাদ একটিতে যোগ করা হয়েছে। উইন্ডস্ক্রিন গাড়ির ছাদের সঙ্গে জোড়া লাগানো। দেখলে অনেকটা মহাকাশযানের মতো মনে হতে পারে।
এই অনন্য ডিজাইনের জন্যই গাড়িকে ভবিষ্যতের কোনো প্রযুক্তিনির্ভর যান বলে মনে হয়। এ ছাড়াও এই বিলাসবহুল গাড়িতে অনেক আধুনিক বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে যা অন্য কোনো গাড়িতে দেখা যায় না। এর লুক, ডিজাইন, দাম, বিশেষত্ব একে অভিজাত গাড়ির তকমা দিয়েছে।
শুধু অডি এ৯ চ্যামেলিয়ন নয়, আম্বানি পরিবারের গ্যারেজে আছে আরও অনেক বিলাসবহুল গাড়ি। এর মধ্যে রোলস রয়েস, মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ এবং ফেরারির মতো ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে। আম্বানি পরিবারের গাড়ি সংগ্রহে প্রায় ১৭০টিরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। এই গাড়িগুলোর প্রত্যেকটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস