বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করায় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার সিএমএম আদালতের এজলাসে হাজির করা হয় হাজী সেলিমকে। পরে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয় তাকে।
কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় হাজী সেলিমের হাতে পত্রিকার একটি পৃষ্ঠা দেখা যায়। পরে তার হাত থেকে এক পুলিশ সদস্য পত্রিকার পৃষ্ঠাটি নিতে গেলে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তবে তার আইনজীবীর মধ্যস্থতায় শান্ত হন তিনি। এরপর শুরু হয় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি।
শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজী সেলিমকে নামিয়ে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ফের চিৎকার-চেঁচামেচিতে লিপ্ত হন তিনি। পরে এজলাস থেকে নামিয়ে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এ সময় তার মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং দুই হাত পেছন দিক থেকে পিঠমোড়া করে বাঁধা ছিল।
এরও আগে আদালতে হাজী সেলিমকে দেখতে আসেন তার ভাইয়ের মেয়েসহ স্বজনরা। এসময় তাকে হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে তোলা হচ্ছিল। স্বজনদের কাছে না পেয়ে ভাতিজিকে দূরে দেখতে পেয়ে হাত দিয়ে ‘উড়ন্ত চুমু’ (ফ্লায়িং কিস) দেন হাজী সেলিম।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
