আদালত অবমাননার মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে এটি তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম রায়।
বুধবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত বছর অক্টোবরে পুনর্গঠিত এই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এ রায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে অথবা তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সেদিন থেকেই শাস্তি কার্যকর হবে।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর জানান, ‘এটি একটি আইকনিক রায়। আইন ও বিচারের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।’
রায় ঘোষণার আগে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও বক্তব্যে এক নারীকণ্ঠে শোনা যায়, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং এতে শেখ হাসিনার কণ্ঠ চিহ্নিত হয়েছে বলে জানায়।
এদিকে চলিত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ২৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এর মধ্যে ২১৩টি হত্যা, ৩৭টি হত্যাচেষ্টা ও অপহরণ সংক্রান্ত এবং একাধিক মামলায় গুম ও গণহত্যার অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রথম মামলা
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করা হয় ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
এই মামলার বাদী এস এম আমীর হামজা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আবেদন করলে আদালত মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :