সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ক্যানসারে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জুলাই আন্দোলনের সময় শাহবাগে ঝুট ব্যবসায়ী মনির হত্যা মামলার শুনানিকালে আইনজীবী এ তথ্য জানান।
এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে কামরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব আহমেদ বলেন, মামলার ঘটনাস্থল শাহবাগ থানাধীন চাঁনখারপুল। তিনি এই এলাকার সংসদ সদস্যও নন, বাসিন্দাও নন। তিনি পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত। লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে এসেছেন। তিনি অসুস্থ মানুষ। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। যেকোনো সময় তার একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ দেন, তবুও রিমান্ড দেবেন না।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, এই আসামি কামরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় মদদে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছেন। তিনি খাদ্যমন্ত্রীর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ঝুট ব্যবসায়ী মনির হত্যার সঙ্গে জাড়িত। তাকে রিমান্ডে নিলে অন্য আসামিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসে আনা হয়। এ সময় লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। এরপর তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ৩৫১ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম এ মামলার ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।