তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের ঐতিহাসিক রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানিকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এখন যে গঠন বা বিন্যাসে আছে, সেখানে সবশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিই হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। কিন্তু এটা বর্তমানে কার্যকর হচ্ছে না।
শিশির মনির বলেন, আপনারা ইতোমধ্যেই জানেন, জুলাই সনদ যেটা গণভোটে পাঠানো হচ্ছে, সেটা পাস হলে এবং নতুন সংসদে সংবিধান সংস্কার সভায় গৃহীত হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফরম্যাটে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। এটা নির্ভর করবে জুলাই সনদ গণভোটে পাস করল কি-না, পাস হলে সংবিধান সংস্কার সভা ওই ফরম্যাট গ্রহণ করে কি-না।
এর আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আজকের রায়ের মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরেছে। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হবে। চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে। অর্থাৎ সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা গঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন