ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় পৃথক দুটি ধারায় ১৪ বছর এবং যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ পরীক্ষা ভালো করার আশ্বাস দিয়ে কৌশলে তাকে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আটক রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

ঘটনার পর ওইদিন রাতেই শিক্ষকের সঙ্গে আরও দুজনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর মা। পরে র‌্যাব ফিরোজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

তবে চার্জ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে একমাত্র আসামি ফিরোজ আহমেদের বিচার শুরু করেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামি ফিরোজ আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাদীপক্ষও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’