শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

৬২ মামলার পলাতক আসামি ব্যাংকখেকো বাচ্চুর হদিস নেই

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

৬২ মামলার পলাতক আসামি ব্যাংকখেকো বাচ্চুর হদিস নেই

ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসন আমলে ব্যাংক খাতকে লুটপাটের আখড়া বানিয়েছিলেন যে কয়জন তার মধ্যে অন্যতম বেসিক ব্যাংকের শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। বেসিক ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি, বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হওয়া ৬২ মামলায় পলাতক আসামি হয়েও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ব্যাংটির সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু। 

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গত বছরের ১২ জুন বাচ্চুর বিরুদ্ধে ৫৮ মামলায় চার্জশিট দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২১ জুন তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। 

ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্টজন ব্যাংকখেকো বাচ্চুর হদিস করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুদক যখন চার্জশিট দাখিল করেন, তখন বাচ্চু দেশেই ছিলেন বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। এখনো বাচ্চু দেশেই লুকিয়ে আছে বলে তাদের ধারণা।

দুদক সূত্র জানায়, গতবছর যখন বাচ্চুর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়, সে সময় তাকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা দেখানো হলেও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদিও আদালতে দেওয়া দুদকের আবেদনেও তার দেশে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। 

৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পরও সেই তৎরপরতা আর দেখা যায়নি। তবে আদালত থেকে তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বহিরাগমন শাখাসহ (ইমিগ্রেশন শাখা) সব বন্দর কর্তৃপক্ষকে দুদক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আদালতে দেওয়া আবেদনে দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম উল্লেখ করেন, ‘বেসিক ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতিসহ ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ এবং আত্মসাতে সহায়তার অপরাধে সর্বমোট ৫৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টিতে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।’

দুদক সূত্র জানায়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু দেশেই আছেন, এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত। কারণ ইমিগ্রেশনের সবশেষ তথ্য নিয়ে দুদকের গোয়েন্দারা জেনেছেন, বাচ্চু সর্বশেষ দুবাই যান ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল। সেখান থেকে তিনি কানাডায় যান। কানাডা থেকে দেশে ফিরে আসেন ২০২৪ সালের ৮ জুন। 

১২ জুন দুদকের করা ৫৯ মামলার মধ্যে ৫৮টিতে তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর বৈধপথে তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কোনো তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা সংস্থার কাছে নেই। 

তবে অবৈধপথে তিনি দেশত্যাগ করেছেন কি না, সে তথ্যও নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি ছাড়াও শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে আরও চারটি মামলা রয়েছে দুদকের। তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও ২৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থের মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আছে।

বাচ্চুর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল না হওয়ার বিষয়ে দুদকের কোনো কর্মকর্তা সদুত্তর দিতে পারেননি। তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে নিয়োজিত দুদকের জিআরও (সহকারী পরিচালক) আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে। দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সেটা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। পুলিশেরই সেই পরোয়ানা তামিল করার কথা।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!