ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনার গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন দক্ষ অপারেটর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যারা আমাদের পোর্টগুলোর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে একটি ইনভেস্টমেন্ট হাবে রূপান্তরের যে লক্ষ্য নিয়েছি, তা বাস্তবায়নের জন্য বন্দর ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।’

বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান বার্ষিক হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা ১.৩৭ মিলিয়ন ইউনিট।

সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এ ক্ষমতা ৭.৮৬ মিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব।

তিনি জানান, বর্তমানে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১.২৭ মিলিয়ন এবং মোংলা বন্দর ০.১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেল করতে পারছে। সেগুলোর সক্ষমতা যথাক্রমে ১.৫ মিলিয়ন ও ০.৬৩ মিলিয়নে উন্নয়নযোগ্য।

পতেঙ্গা, লালদিয়া, বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ শেষ হলে বাংলাদেশের মোট হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা পাঁচ মিলিয়ন ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা লালদিয়া বন্দরের উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। আগস্টের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।