ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন দুই গৃহপরিচারিকা পিংকি আক্তার ও শিরিন আক্তার।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে তারা অভিযোগ করেন, শিশু সামলানোকে কেন্দ্র করে পরীমনি তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ শুনে শুধু হেসেই উঠেন পরীমনি। একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ওর বক্তব্য হাস্যকর। আমি নাকি ওকে আধঘণ্টা ধরে থাপ্পড় দিয়েছি! আমার বাচ্চার কামড়ে সে নাকি অজ্ঞান হয়ে গেছে! আমার বাচ্চা কি ভ্যাম্পায়ার নাকি?’
সংবাদ সম্মেলনে পিংকি জানান, পরীমনির বাসায় কাজ নেন একটি এজেন্সির মাধ্যমে। কাজ ছিল শিশুকন্যাকে সামলানো। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২ এপ্রিল দুধ খাওয়ানোর প্রসঙ্গ ঘিরে পরীমনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও মারধর করেন।
পিংকি বলেন, ‘তিনি আমাকে মাথায় জোরে জোরে আঘাত করতে থাকেন। আমি তাকে অনুরোধ করি হাসপাতালে নিয়ে যেতে, তিনি বলেন তুই এখানেই মরবি, এখানেই চিকিৎসা করব।’ তিনি আরও জানান, ঘটনার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন, কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি।
অভিযোগ তোলা আরেক গৃহপরিচারিকা শিরিন বলেন, ‘আমার এক মাসের বেতন না দিয়ে আমাকে গালাগাল করে বের করে দেন। এর আগেও দুই গৃহপরিচারিকার সঙ্গে একই আচরণ করেছেন।’
পরীমনি এসব অভিযোগকে ‘মিডিয়া ট্রায়ালের চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘যে বিষয় আদালতে আছে, তা নিয়ে আবার সংবাদ সম্মেলন করার কী প্রয়োজন? এতগুলো মানুষ আমার সঙ্গে থাকে, কেউ কোনোদিন অভিযোগ তোলেনি। এটা একটা প্রতারক চক্র, যারা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল পরীমনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন পিংকি। মামলায় পরীমনির ফ্ল্যাটের আরেক বাসিন্দা সৌরভকেও আসামি করা হয়েছে।
আদালত পিবিআইকে আগামী ৮ মের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।