ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লোগো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ এবং এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো বিরোধীদল ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর সহিংসতা, গুম, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়ে সারা দেশে সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দমনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এসব অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে অসংখ্য মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে দলটির পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, উসকানিমূলক কর্মসূচি, বিদেশে পলাতক নেতাদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার, ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংসের চেষ্টা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী দলটি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রকাশনা, প্রচারণা, গণমাধ্যম ব্যবহার, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।