বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য সকলে যুদ্ধে নামতে হবে এবং মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য লড়াই করতে হবে, যদি আমরা এই লড়াইয়ে না নামি তাহলে দেশের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে যাবে।’
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কেআইবি মিলনায়তন-এ আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট পরিকল্পনা দেয়নি। একমাত্র বিএনপি তা করেছে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। “আমি চাই না, আমরা চাই না, আর কারও জীবনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার জন্মগত। সবাইকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে।’
নারী, কৃষি ও শিক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, নারী সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের নারী সমাজকে সাবলম্বী করতে চাই। এতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভীত তৈরি হবে। কৃষি রপ্তানি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান তিনি।
শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় একটি ভাষায়ও দক্ষ হতে পারে—এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।
বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা কোনো মেগা প্রজেক্টে যাবো না, কারণ এতে দুর্নীতি হয়। টাকা খরচ হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে, যার মধ্যে ৮০–৮৫ শতাংশ নারী হবেন।’
দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এখনই পদক্ষেপ নিলে, আগামী ১০ বছরে দেশ সুফল পাবে।’
খেলাধুলা ও নগর পরিকল্পনার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘শিক্ষা-স্বাস্থ্য-ক্রীড়া—এই তিনটি মন্ত্রণালয় সারাবছর একসঙ্গে কাজ করবে। দম বন্ধ করা শহরে খেলার মাঠ নেই। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বাজার দরে জায়গা কিনে আমরা খেলার মাঠ তৈরি করবো।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
