রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড়ে এক দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের প্রধান দাবি—ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের পদত্যাগ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট থেকে ব্যবসায়ীরা প্রথমে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বন্ধ এবং মুঠোফোন আমদানির নীতিমালা সহজীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা সড়কে টায়ার ও কাঠ জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে একটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে জানা গেছে।
সড়ক অবরোধের ফলে সার্ক ফোয়ারা মোড় ঘিরে চারপাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে থেমে যায়। এতে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ আক্কাছ আলী। তিনি বলেন, মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা সার্ক ফোয়ারা মোড়ে অবরোধ করার কারণে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, এনইআইআর চালু হলে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাঁরা দাবি করেন, নতুন এই ব্যবস্থা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুবিধা দেবে এবং অতিরিক্ত কর ও জটিলতার কারণে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের দাম আরও বাড়বে।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থায় প্রতিটি মুঠোফোনকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে এবং অবৈধভাবে আনা ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে বৈধ আমদানিতে শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা ও প্রবাসীদের জন্য বাড়তি সুবিধার কথাও জানিয়েছে বিটিআরসি।
এর আগে, রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে অবস্থান নেয় মোবাইল ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের দাবির মধ্যে আছে- মোবাইলের আমদানি শুল্ক কমানো, আমদানি শর্ত সহজ করা, এনইআইআর সিস্টেম চালুর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর সিস্টেম চালু হতে যাচ্ছে। এতে আইএমইআই নম্বর ব্যবহার করা চুরি বা অবৈধ মোবাইল ফোন চিহ্নিত ও ব্লক করা হবে।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, এনআইআইআর সিস্টেম চালু হলে লাখো ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা আরও দাবি করেন, নতুন নীতি নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর উপকার করবে এবং অতিরিক্ত শুল্কের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে মোবাইল ফোনের দাম বাড়বে।



