চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ৪ হাজার ২০০ কেজি নিষিদ্ধ ঘনচিনি জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের গোয়েন্দা টিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা এই পদক্ষেপ নেয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, ‘এজাজ ট্রেডিং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে একটি কনটেইনারে ২২ হাজার ৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে, যা গত ২১ অক্টোবর বন্দরে পৌঁছায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্যের খালাস স্থগিত করা হয় এবং ৬ নভেম্বর কায়িক পরীক্ষা চালানো হয়।
পরীক্ষায় দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। রাসায়নিক পরীক্ষায় জানা যায়, এর মধ্যে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকলেও ৪ হাজার ২০০ কেজি পণ্য ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত হয়।
ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির তুলনায় ৩০–৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটি মিষ্টান্ন, বেকারি, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্যে ব্যবহার করে থাকে। তবে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।
-20251210151231.webp)
সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২০২৪ অনুসারে ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিধান অনুযায়ী, কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর অধীনে পণ্যগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
