ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

জবির সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে: মাহফুজ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০১:০২ এএম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংকটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবগত হয়েছেন। এটি সমাধানের জন্য আমাদের বারবার বসতে হবে।

বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টায় কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের সামনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রতিনিধি দল।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, আজ সকাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনের সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। তারা তিনটি দাবি দিয়েছেন। তিনটি দাবির যৌক্তিকতা আছে কি নেই, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিচার করে দেখবে। যে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন সংকটে আছে, আমাদের সরকার তার সুনজরে দেখবে। আগামী বাজেটে যাতে তাদের আবাসন ভাতা সত্তর শতাংশ দাবি তুলেছেন। সেটা কত শতাংশ করা যায় একটা আলোচনা সাপেক্ষ। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ ত্বরান্বিত করার কথা বলেছেন। আমরা আশা করি, শিগগিরই কাজগুলো হবে। তবে আরেকটি দাবি হচ্ছে, বাজেট না কমানোর জন্য বা সামনে বাজেটের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের কাছে তারা দাবিগুলোর বিষয়ে অবগত করতে পারবে। এটা করার সুযোগ তারা পাবেন। এ ছাড়া জবি ভিসি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বসবেন। এটা এক দুই দিনের বিষয় না। আমাদের বারবার বসে এর সমাধান খুঁজতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং স্টক হোল্ডারদের সাথে বসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।  দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে। আমি দুঃখ জানাতে চাই যে, এরা আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে, আমি মনে করি যারা জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলন করেছে, তারা আমার ওপর হামলা করেনি। মামলা করেছে যারা এই আন্দোলন নামে নাশকতা করতে চেয়েছেন। 

এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজের বক্তব্যে অসন্তুষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন। শিক্ষার্থীরা এ মুহূর্তে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনের ব্যাপারে।