জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ থেকে বাঁচতে ওই কোমলমতি শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটে ১২ আগস্ট। বিদ্যালয়ের ক্লাসে ‘আমাদের ছোট নদী’ ছড়া লেখার সময় কয়েকটি বর্ণ ছোট-বড় করে লেখায় ওই ছাত্র তাছিন তালহাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মারধর করেন শিক্ষক নজরুল। এতে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পড়ে। পরে সমাবেশ চলাকালে লাইন বাঁকা হওয়ায় আবারও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কঞ্চি দিয়ে পেটান তিনি।
এ অভিযোগ জানতে শিশুটির মা তাসলিমা আকতার শাপলা প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে নজরুল ইসলাম উল্টো তার সন্তানকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে গালাগাল করেন। তিনি দাবি করেন, মাসখানেক আগে ওই ছাত্র তার কাছে ৫০ হাজার টাকা ‘চাঁদা’ চেয়েছিল। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের ২৫ জন অভিভাবক স্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, শিক্ষকের আচরণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমছে। সামান্য ভুলের জন্যও শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। এমনকি প্রশংসাপত্র দিতেও নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের।
শিশুটির মা শাপলা বলেন, ‘দ্বিতীয় শ্রেণির একজন ছাত্র কিভাবে চাঁদা চাইতে পারে? ছেলেকে মারধর করার পর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে আমার সন্তানের ওপর এমন হাস্যকর অভিযোগ চাপানো হয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল। ক্লাসে হট্টগোল করায় নিয়ন্ত্রণ করতে মেরেছি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।