শেখ হাসিনার পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি বড় হয়ে উঠেছে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি। দেশের সব রাজনৈতিক দলের একটাই চাওয়া নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখন নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ওপর। এ বিষয়ে বল এখন দলগুলোর কোর্টেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার।
তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা দিতে গণভোটের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই সরকারের। এমন প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে তারা বলেন, এ নিয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত শেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সরকার পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের দাবিও জোরালো হয়ে উঠেছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ইতোমধ্যে নয় মাস পেরিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে সরকারপ্রধান ডিসেম্বর বা জুনে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা বললেও এখনো নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। বিএনপিসহ শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, নির্বাচন সংস্কারের নামে প্রক্রিয়াটিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।
তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এক কমিশন আরেক কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি। আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে কাজ করেছে এবং এখনো করছি।
সাংবিধানিক কাউন্সিলের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ, সংসদীয় আসনের কাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়ে গেছে। এসব বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হবে জাতীয় সনদ। আর সেই সনদের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে নির্বাচনের সময়সূচি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যত দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত পোষণ করবে এবং আমরা একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে পারব, তত দ্রুতই নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :