বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে । কোম্পানিটি প্রথম তিন মাস পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাবে। তারা বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করেছে।
ইলন মাস্কের এই ইন্টারনেট সংযোগ পেতে সরাসরি ওয়েবসাইট বা লজিস্টিক সহযোগিতা থেকে পছন্দের প্যাকেজ কিনতে পারবেন। এসব লজিস্টিক সহযোগিতা দেবে দেশীয় ছয় থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড স্টেশন ঘিরে নেটওয়ার্ক তৈরিতেও দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ফাইবার অপটিক সেবা নেবে।
ঘরে বসেই স্টারলিংকের সংযোগ পাবেন যেভাবে
স্টারলিংক ইন্টারনেটের পুরো প্রক্রিয়ায় তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাউন্ড স্টেশন, স্যাটেলাইট ও রিসিভার অ্যান্টেনা। স্টারলিংক সংযোগের জন্য স্ট্যান্ডার্ড কিটে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল।
এটি সেট-আপ করা অত্যন্ত সহজ। প্রয়োজনীয় সংযোগ দিয়ে স্যাটেলাইট ডিশটির ফাঁকা জায়গায় আকাশের দিকে মুখে করে স্থাপন করতে হবে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কীভাবে স্টারলিংকের সংযোগ পাবেন। দেশে এখনো স্টারলিংকের গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি হয়নি। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক পেতে হলে সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন পাবেন।
রেসিডেনশিয়ালে ‘অর্ডার নাউ’ অপশনে গিয়ে নিজের স্থান নির্বাচন করতে হবে। তবে সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি। এখানে প্রথমে আপনার ঠিকানা দিয়ে সেখানে এই সেবা পৌঁছাবে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এরপর চেক-আউট অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে ‘প্লেস অর্ডার’ ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো সেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে।
স্টারলিংকে ৩০ দিনের একটি ট্রায়াল অপশনও রয়েছে। সেবা ‘সন্তোষজনক’ মনে না করলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন। তবে বাংলাদেশে এই সুযোগ এখনই আসছে কি না, তা জানতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :