চীন সরকারের আগ্রহে দেশটিতে প্রথমবারের মতো রপ্তানি হবে বাংলাদেশের আম। আগামী ২৮ মে আমের প্রথম চালান যাবে চীনে। একই সঙ্গে কাঁঠাল ও লিচু রপ্তানির বিষয়েও কাজ করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
তিনি বলেন, ‘চীনে আম রপ্তানির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলেছে। প্রথম দফায় প্রায় ৫০ টন আম চীনে রপ্তানি হবে এবং ভবিষ্যতে এই পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।’
সচিব আরও জানান, কেবল আম নয়, বাংলাদেশ সরকার কাঁঠাল ও অন্যান্য মৌসুমি ফল রপ্তানির দিকেও নজর দিচ্ছে। এ জন্য দেশের কৃষকদের বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এমদাদ উল্লাহ মিয়ান জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় কৃষি উৎপাদনকে টেকসই ও যুগোপযোগী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদেই এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চলতি বছরে দেশে ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনক হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি পচনশীল পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে আধুনিক হিমাগার ও সংরক্ষণাগার তৈরির কাজও চলছে বলে উল্লেখ করেন সচিব।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :