শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম

‘প্রশাসনে শৃঙ্খলার নতুন হাতিয়ার ডিজিটাল সিগনেচার’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম

‘প্রশাসনে শৃঙ্খলার নতুন হাতিয়ার ডিজিটাল সিগনেচার’

ছবি-সংগৃহীত

সরকারি দপ্তরের শৃঙ্খলা আনার নতুন হাতিয়ার ডিজিটাল সিগনেচার বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার (পিকেআই) সামিট-২০২৫’ উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সক্ষমতায় অনেক পিছিয়ে। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করে দেশে নানারকম প্রতারণা হচ্ছে। এসব প্রতারণা বন্ধের পাশাপাশি সরকারি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিগনেচার ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, ১২টি সিটি করপোরেশন, কয়েক শ পৌর করপোরেশন রয়েছে। প্রত্যেকটা অফিস, মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রতিদিন প্রচুর ডকুমেন্ট তৈরি করে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন প্রতিদিন শত শত ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে। শিল্প মন্ত্রণালয় ট্রেড মার্ক তৈরি করে, শিক্ষা বোর্ডগুলো সার্টিফিকেট তৈরি করে, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কিংবা হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সার্টিফিকেট তৈরি করে।’

‘এ ছাড়া এনআইডি কর্তৃপক্ষ, জন্ম বা মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন কিংবা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকেই ডকুমেন্ট তৈরি করে। এগুলো ডিজিটাল হওয়া দরকার। ব্যক্তি যে ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছে, এই ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট ভেরিফাই করার মতো জনবল নেই। তাই আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে কীভাবে ডকুমেন্টেড বা সার্টিফিকেট ওরিয়েন্টেড করা যায় সে জন্য দায়িত্ব নিতে হবে।’  

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘যতদিন যাবে বিদেশি এজেন্সি, সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট গ্রহণ করা বন্ধ করে দেবে। কারণ তারা প্রথমে এআই, ব্লকচেইনসহ প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্টিফিকেটগুলো যাচাই-বাছাই করবে। তখন ম্যানুয়ালি সার্টিফিকেটগুলো অনুমোদন হবে না। আর এই সমস্যাগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে। তাই আমাদের সিসিএ থাকাটা জরুরি।’

বাংলাদেশের জনগণকে পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার (পিকেআই) বিষয়ক উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানো ও সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।  

সেমিনারে ডিজিটাল সিগনেচার বেস্ট ইউজার ক্যাটাগরিতে চার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।  

এটিএম জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আইসিটি ডিভিশনের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা অংশ নেন।

Link copied!