শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ১০:১৩ এএম

লন্ডনে শেখ রেহানার ‘বিনা ভাড়ার’ বাসা জব্দ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ১০:১৩ এএম

লন্ডনে শেখ রেহানার ‘বিনা ভাড়ার’ বাসা জব্দ

শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক একসময় এই বাসায় বসবাস করতেন। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে শেখ রেহানার অবস্থান নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যেসব সম্পত্তিতে বসবাস করতেন, সেই দুটি বাড়ি ফ্রিজ করেছে। এই বাড়িগুলো সালমান এফ রহমানের পুত্র সায়ান রহমানের মালিকানাধীন। দুটি সম্পত্তির বাজারমূল্য প্রায় ১২৫ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)।

জব্দ করা দুটি প্রপার্টির মধ্যে একটি অবস্থিত লন্ডনের অভিজাত এলাকা ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার, যার আর্থিক মূল্য ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৯৩ কোটি টাকা)। ২০১০ সালে কেনা এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটটি ঐতিহাসিক গ্রোসভেনর স্কয়ারের দ্বিতীয় তলায় এবং হাইড পার্ক থেকে মাত্র কয়েক মিনিট হাঁটার দূরত্বে।

অন্য প্রপার্টিটি উত্তর লন্ডনের বার্নেট কাউন্সিলের অধীনে ৫৬ গ্রেশাম গার্ডেনস, যার মূল্য ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১৭ কোটি টাকা)।

জানা যায়, এই বাসাতেই বিনা ভাড়ায় বসবাস করতেন শেখ রেহানা। আগে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলে সালমান এফ রহমান বলেছিলেন, ভাইয়ের বাসায় বোন থাকলে ভাড়া লাগে না। তবে শেখ রেহানা নিজে এ বিষয়ে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

ব্রিটিশ নির্বাচনসংক্রান্ত নথি ও বিভিন্ন সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন কাগজ অনুযায়ী, উভয় প্রপার্টির মালিক সায়ান রহমান। এই সম্পত্তিগুলো লেডিবার্ড প্রপার্টিজ লিমিটেড নামক একটি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়।

এনসিএ এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি চলমান সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে আমরা লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার ও গ্রেশাম গার্ডেনসের দুটি সম্পত্তি ফ্রিজ করার আদেশ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে তারা এর চেয়ে বেশিকিছু জানাতে রাজি হয়নি।

ব্রিটিশ আইনে ফ্রিজিং অর্ডার এমন একটি আদেশ, যা কোনো সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা ব্যবহারে বাধা দেয়। এটি মূলত সন্দেহভাজন আর্থিক অপরাধ, দুর্নীতি বা অবৈধ অর্থ স্থানান্তরের অনুসন্ধান চলাকালীন প্রয়োগ করা হয়।

প্রসঙ্গত, শেখ রেহানা ও তার মেয়ে যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক একসময় এই গ্রেশাম গার্ডেনস প্রপার্টিতে বাস করতেন বলে জানা গেছে। তবে বর্তমানে শেখ রেহানা এখনো সেখানে থাকেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার পর লন্ডনের রাজনৈতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশি মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয়ের সম্পত্তির ওপর এনসিএর তদন্ত নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশি রাজনীতিকদের বিদেশে সম্পদ অর্জনের বৈধতা নিয়ে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!