জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রসঙ্গে মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’, যা সরকার চাইলে নিজেই নিতে পারে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে গোয়েন লুইস বলেন, ‘জাতিসংঘ সবসময় একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব নিয়ে লুইস বলেন, ‘নারী-পুরুষ ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে সমাজের সব অংশের নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে জাতিসংঘ বোঝে- দেশের সব নাগরিকের সম্পৃক্ততা।’
নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংস্কার ও নির্বাচন কোনটি আগে হওয়া উচিত- এমন প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের। জাতিসংঘ শুধু পাশে থাকতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং ভবিষ্যতে এই সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে।’
রোহিঙ্গা সংকট ও সম্ভাব্য মানবিক করিডর বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সম্মতির ওপর। এই সম্মতি থাকলেই জাতিসংঘ সহায়তা দেবে, তবে জাতিসংঘ একতরফাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।’
মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অগ্রগতি নিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক অফিস চালুর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। এতে বাংলাদেশের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যক্রমে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :