ঈদুল আজহা আগামীকাল শনিবার (৭ জুন)। শেষ মুহূর্তে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা জমে উঠেছে। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও বড় গরু নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ী ও খামারিরা। কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না পাওয়ায় অনেকেই লোকসানের মুখে পশু নিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।
শাহজাদপুর থেকে আসা খামারি মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘৪ লাখ টাকা করে দুটি বড় গরু বিক্রির চেষ্টা করছেন তিনি। দুই লাখ হলেও বিক্রি করবেন বলে ভাবছেন, কারণ ছোট ও মাঝারি গরুগুলো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরু বাড়িতে নিয়ে গেলে লস। বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হবে। আগে অনেক দাম পাওয়া যেত, এখন মনে হচ্ছে টাকাওয়ালারা দেশে নেই।’
কুষ্টিয়ার খাজানগর থেকে সাতটি বড় গরু নিয়ে হাটে আসা ব্যবসায়ী নওয়াব আলী বলেন, ‘তিন দিনে দুটি গরু বিক্রি করেছি। বাকি গরু নিয়ে কী করব বুঝতে পারছি না। একটি গরুর দাম ১৫ লাখ টাকা রেখেছি, একজন ৮ লাখ বলেছে। এমনও হয়েছে গায়ে গায়ে দাম দিলেও ছাড়তাম। কিন্তু এত লসে গরু বিক্রি করা যায় না। বিক্রি না হলেও লস, বিক্রি করলেও লস।’
মেহেরপুরের খামারি খলিলু রহমান বলেন, ‘বড় গরু হাটে এনে মনে হচ্ছে অপরাধ করেছি। কোনো ক্রেতা নেই। সবাই ছোট গরু কিনছে। দেশে কি ১০ লাখ টাকার গরু কেনার লোক নেই?’
শুক্রবার সকালে গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড়ে হাটের সামনের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। অনেকে পরিবারের নারী-শিশু সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। ক্রেতারা পশু দেখছেন, পছন্দ হলে দামদর করছেন। কেউ কেউ দাম শুনেই সরে যাচ্ছেন।
হাটের ২ নম্বর হাসিল ঘরের দায়িত্বে থাকা জাকিরুল আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভালো বেচাকেনা হয়েছে। আজও বেলা বাড়লে হাট জমবে। তবে বড় গরুর বিক্রি খুব কম। শতকরা এক-দুই শতাংশ মাত্র।’