পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। ট্রেনে ঈদের ফিরতিযাত্রার দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৮টি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ রুটের ট্রেনের শিডিউল ঠিক থাকলেও উত্তরবঙ্গ; বিশেষ করে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে দুপুর পৌনে ২টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে। পরে দ্রুত যাত্রী নামিয়ে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী থেকে সকালে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেসও নির্ধারিত সময়ের পৌনে ২ ঘণ্টা পর ঢাকায় এসেছে। রাজশাহীগামী যাত্রী নিয়ে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস বর্তমানে প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে।
রাজশাহী থেকে সকালে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেসও প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ পর ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
এদিকে, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা অভিমুখী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেসও প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে।
রাজশাহীর ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজশাহীর চারঘাটের নন্দনগাছী রেলওয়ে স্টেশনের চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ (যাত্রাবিরতি) ও স্টেশন সংস্কারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এতে বনলতা, মধুমতি, সিল্কসিটি ও সাগরদাঁড়ি ট্রেন আটকা পড়ে। যার ফলে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।’
শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তীব্র গরমে পরিবার নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাদের। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এ শিডিউল বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন যাত্রীরা।
আপনার মতামত লিখুন :