ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

ঈদযাত্রার সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ‘১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

ঈদুল আজহার আগে-পরে ১২ দিনে (৩ জুন থেকে ১৪ জুন ) দেশে ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ১৯৭ জন। দুর্ঘটনার মধ্যে ২৭ ভাগের বেশি হয়েছে ভোর ও সকালে।

বুধবার (১৮ জুন) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে ১২১টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭ জন। পাশাপাশি ৯টি নৌদুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৩২টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।

এবার সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১১৬টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৮৭ জনের। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে, ১৩টি ঘটনায় নিহত ১৪ জন।

জেলা হিসেবে ফরিদপুরে সর্বোচ্চ ২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ১৯ জনের। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কয়েকটি দুর্ঘটনা হলেও কেউ মারা যাননি। রাজধানী ঢাকায় ৩৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ জন, আহত ৫৩ জন।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্রে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৭ জন (৩৪.২৯ শতাংশ), বাস যাত্রী ৩৩ জন (১০.৫৭ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ আরোহী ১৮ জন (৫.৭৬ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১১ জন (৩.৫২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৭৩ জন (২৩.৩৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক) ২০ জন (৬.৪১ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৬ জন (১.৯২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৬টি (৩৯.১৯ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১২১টি (৩৪.৮৭ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৩৪টি (৯.৭৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি (১৬.১৩ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাগুলোর ৮১টি (২৩.৩৪ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৩টি (৪৬.৯৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪৬টি (১৩.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৫১টি (১৪.৬৯ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি (১.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৮৯টি। এরমধ্যে বাস ১১৪টি, ট্রাক ৬৬টি, কাভার্ডভ্যান ১১টি, পিকআপ ১২টি, ট্রাক্টর ৪টি, ট্রলি ৬টি, ড্রাম ট্রাক ৭টি, মাইক্রোবাস ১৭টি, প্রাইভেটকার ২৯টি, অ্যাম্বুলেন্স ৩টি, মোটরসাইকেল ১২৮টি, থ্রি-হুইলার ১২৬টি (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪১টি (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক), বাইসাইকেল-রিকশা ১৩টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১২টি।