সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম

যেসব কারণে নূরুল হুদাকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ছবি- সংগৃহীত

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ছবি- সংগৃহীত

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ জুন) শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন।

এ বিষয়ে দুপুর ২টার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আসামি কে এম নুরুল হুদাকে রিমান্ডে নেওয়ার কারণ হিসেবে ১১টি বিষয় উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার।

সেসব কারণগুলো নিম্নরূপ

এক. গ্রেপ্তার আসামি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি ওই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্পন্ন করতে পারেন নাই এবং দেশকে গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছেন।

দুই. প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছেন। যাতে করে সংবিধান অমান্য করেছেন এবং শপথ ঠিক রাখতে পারেন নাই।

তিন. দণ্ডবিধি আইনের ১৭১ (ক) ধারার সংজ্ঞা মতে, নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধা করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। সে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অন্যান্য কমিশনার এবং বিভাগীয় ও জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।

চার. ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকারি আদেশ, সাংবিধানিক ক্ষমতা হ্রাস, দেশের জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তরুণ সমাজের ভোটে বিমুখ, ভারমূর্তি নষ্ট করেছে।

পাঁচ. গ্রেপ্তারকৃত আসামি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকা অবস্থায় কার পরামর্শে ও সহযোগিতায় ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিতদের দ্বারা দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করে মিথ্যা বিবৃতির মাধ্যমে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে এবং মিথ্যা গেজেট প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করে।

ছয়. গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করার লক্ষ্যে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রহসনমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণ করে কত টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছে তা উদঘাটন করা। যাতে করে কোটি কোটি নতুন প্রজন্মের ভোটারগণ ভোট দিতে পারেনি। তাতে দেশে স্বৈরাচারীর বীজ বপন করা হয়েছিল।

সাত. নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা কার ইন্ধনে ও কী স্বার্থে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

আট. গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফ্যাসিবাদের মূল নায়ক। তার কাছ থেকে পাতানো নির্বাচনের কৌশল ও জড়িতদের উদঘাটন করা দরকার।

নয়. গ্রেপ্তারকৃত আসামি কোন কোন সংসদ আমলে কার কার কাছ হতে কত টাকা ঘুষ গ্রহণ করে ফল পরিবর্তন করে গেজেটে সাজানো ভোটের ফল প্রকাশ করেছেন তার তথ্য উদঘাটন করা দরকার।

দশ. এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তার।

এগারো. মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!