‘ক্ষমা আইনের’ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাবের পক্ষে একমত হয় দলগুলো।
দলগুলো বলছে, নির্বাচিত সংসদে এই আইনের কাঠামো ও বোর্ড সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, ক্ষমা প্রর্দশনের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান করে ৬ সদস্যের বোর্ডের প্রস্তাবে সব দল একমত হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এরপর জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ কয়েকজন নেতাও কথা বলেন।
পরে আলোচনা শুরু হয় বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে। কমিশনের প্রস্তাব ছিল, রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা। জামায়াত ও এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এতে একমত হয়।
জামায়াতের পক্ষ থেকে শুরুতে পুরোনো ৪টি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের কথা বলা হয়। এনসিপি ৮ বিভাগেই স্থায়ী বেঞ্চের পক্ষে।
তবে বিএনপি বলেছে, ঢাকার বাইরে বিভাগীয় স্থায়ী বেঞ্চ না করে বছরে একবার বা দুবার অস্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছায়নি দলগুলো।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আমার বাংলাদেশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা অংশ নেন।