অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনবিআরের বিভিন্ন পর্যায়ের এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দুদকের অনুসন্ধানে নতুন করে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তারা হলেন, ঢাকা পূর্বের কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার (সার্কেল-৭) মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা, কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।
এই পাঁচজনসহ মোট ১৬ জন এনবিআর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে দুদক। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এর আগে কর ফাঁকির সুযোগ দেওয়া, ঘুস গ্রহণ এবং হয়রানির অভিযোগে এনবিআরের আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের মধ্যে রয়েছেন, এনবিআর সদস্য লুৎফুল আজীম, ভ্যাটের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া, কর গোয়েন্দা সেলের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কর অঞ্চল-১৬-এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান।
এর পাশাপাশি গত ২৯ জুন আরও ছয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক, যারা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই ছয়জন হলেন, এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার (কর অঞ্চল-৮, ঢাকা) মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম কর কমিশনার (বিসিএস কর একাডেমি) মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, উপ-কর কমিশনার (কর অঞ্চল-১৬, ঢাকা) মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার (নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, ভ্যাট) হাছান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট, ঢাকা দক্ষিণ) সাধন কুমার কুণ্ডু।
দুদক জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্টদের তলব করা হবে এবং যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এনবিআরের অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা দুর্নীতি ও স্বার্থের সংঘাতের চিত্র বেরিয়ে আসছে এই অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে।