জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলন দমন করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংগঠনটি বলেছে, আন্দোলনকারীদের প্রতিহিংসামূলকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) মতে, এনবিআরের এই আন্দোলনের একটি যৌক্তিক ও সমঝোতামূলক সমাধান সম্ভব ছিল। তবে এখনকার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এই জটিলতা সমাধান করা বাস্তবসম্মত নয়। এটি করতে হবে একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে।
শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় ‘এনবিআর ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে রাজস্ব কর্মকর্তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর থেকেই এনবিআরের অভ্যন্তরে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর এবং বদলির মতো নজিরবিহীন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, শুরু থেকেই এনবিআর সংস্কার নিয়ে সরকার এবং আন্দোলনকারীদের বক্তব্যে ছিল বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা। তা সত্ত্বেও, এই সমস্যার একটি ন্যায্য সমাধান সম্ভব ছিল বলে মন্তব্য করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটি মূলত আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে বিদ্যমান ক্যাডার বৈষম্যের প্রতিফলন। বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন এমন পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের নিয়োগের দাবি এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’