ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

পুরান ঢাকায় জনসম্মুখে ব্যবসায়ীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
তারেক রহমান রবিন ও মাহমুদুল হাসান মহিন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং অপর দুজনকে র‍্যাব।

গত ৯ জুলাই, বুধবার বিকেল ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর সোহাগকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভাঙারি ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান বিরোধের জেরে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিসি তালেবুর রহমান আরও জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এবং তারেক রহমান রবিন (২২)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রবিনের হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক বিরোধ ও ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। অন্যান্য জড়িতদেরও শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে, র‍্যাবও সমান্তরাল অভিযান চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ফলে এ ঘটনায় মোট চারজনকে আটক করা হলো।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির এই শীর্ষ কর্মকর্তা।