সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন পদ ও তদূর্ধ্ব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষিত কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন করে ১৪ জুলাই থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এই ক্ষমতা কার্যকর থাকবে।
এই কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২-এর অধীনে অপরাধ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল, যার সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১৩ জুলাই। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রথম প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর তা সংশোধন করে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের জন্য দেওয়া এই ক্ষমতা পরে একাধিক বার নবায়ন করা হয়। সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৩ জুলাই, আর নতুন মেয়াদ শুরু হচ্ছে ১৪ জুলাই থেকে।
২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে গত ১৯ জুলাই কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্যও হতাহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, লুট করা হয় অস্ত্র।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থানা ছেড়ে কর্মবিরতিতে যায় সারা দেশের পুলিশ।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। এমন প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।