ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

এই মর্মান্তিক ঘটনা কীভাবে ঘটল খতিয়ে দেখা হবে: আইন উপদেষ্টা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
বার্ন ইনস্টিটিউটে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা। ছবি- সংগৃহীত

‘আজ জাতির জীবনে এক গভীর শোকের দিন। এত বড় দুর্ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ শোক ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’ সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটে উত্তরার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার এই দুর্ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত হবে, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হবে এবং যাদের বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন তাদেরও পাঠানো হবে। চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি রাখা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ছয়জন উপদেষ্টা এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন।’

এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ নাগরিকরা শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও সহমর্মিতা।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা যা হারিয়েছি, তা কোনো কিছুর বিনিময়ে ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেবে।’

দুর্ঘটনার বিবরণ

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই (৭০১) প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। মাত্র ১২ মিনিট পর, ১টা ১৮ মিনিটে এটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় বার্ন ইউনিট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচসহ রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।