ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

যে কারণে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফেরত চান নিপুণ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ১০:১০ পিএম
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে ফেরানোর আবেদন জানান অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। ছবি- সংগৃহীত

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় যখন স্তব্ধ সারা দেশ তখন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার এক আবেগঘন আহ্বান জানালেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে আবার দায়িত্বে ফেরানো হোক। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসার প্রসঙ্গে তার এই আকুতি এসেছে সরাসরি ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সাবেক মন্ত্রীর একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘প্লিজ ওনাকে বাচ্চাগুলোর জন্য হইলেও কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন!’

উল্লেখ্য, বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারির পথিকৃৎ হিসেবে দেশে ডা. সামন্ত লাল সেন একজন অভিজ্ঞান নাম। পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় নিরলসভাবে কাজ করে গড়ে তুলেছেন আস্থা ও ভরসার এক প্রতিষ্ঠান। 

১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেলে স্বল্প পরিসরে শুরু করা বার্ন ইউনিটকে ২০০৩ সালে তিনি উন্নীত করেন ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ইউনিটে, যা পরে ১০০ শয্যায় রূপ নেয়। 

২০১০ সালের নিমতলী অগ্নিকাণ্ড ও ২০১৪ সালের সহিংস রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চিকিৎসাসেবা প্রশংসিত হয় সর্বমহলে।

চিকিৎসাবিদ্যায় অভূতপূর্ব অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমির ফেলোশিপসহ একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী। বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করেছেন অবসরের পর।

সাম্প্রতিক সময়ে নিপুণ আক্তার ছিলেন প্রায় নিশ্চুপ। তবে উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার পর তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে আসা এবং সেই সঙ্গে সাবেক মন্ত্রীর প্রতি আস্থার প্রকাশ জনমনে সৃষ্টি করেছে প্রশ্ন ও আলোচনা। 

অনেকেই মনে করেন, নিপুণের মতো একজন তারকার এমন আবেদন শুধু আবেগ নয়, বরং চিকিৎসা-অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একপ্রকার প্রতিক্রিয়াও।

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক হত্যা মামলায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের নাম আসামিদের তালিকায় ছিল। যদিও তাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি, তবে মামলাটি ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক একসময় ছিল তুঙ্গে। 

অনেকেই মনে করেন, এই মামলা একটি প্রতীকী চাপ সৃষ্টির চেষ্টা ছিল সরকারের সাবেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর। তবু চিকিৎসাবিদ ও প্রশাসনিক দক্ষতায় তার অবদান এতটাই সুপ্রতিষ্ঠিত যে, সমসাময়িক বিপর্যয়ের সময় তার প্রয়োজনীয়তা ফের আলোচনায় উঠে আসে।