উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন কলেজ চত্বরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর একের পর এক শিশুর নিথর দেহ আর আহাজারিতে যখন থমকে আছে গোটা এলাকা, ঠিক সেই মুহূর্তে উত্তরা মনসুর আলি মেডিকেলে দাঁড়িয়ে লাইভে কেঁদে ফেললেন অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত।
দুর্ঘটনার পরপরই অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত ও নির্মাতা তপু খান ছুটে যান হাসপাতালে। রক্ত দিতে গিয়েই লাইভে এসে রাশেদ সীমান্ত কাতর অনুরোধ করেন, ‘দয়া করে আপনারা উত্তরার রাস্তা এড়িয়ে চলুন, অপ্রয়োজনে আসবেন না। রক্ত দিতে যারা এসেছেন, তারাই থাকুন।’
এরপর রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দলবল নিয়ে হাসপাতাল এলাকায় আইসেন না। আপনারা আসলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়, এটার জন্য একটা শিশুর চিকিৎসা আটকে যায়। আপনারা নেতাকর্মীরা সেলফি তুলতে আইসেন না, শো-অফ করতে আইসেন না। আপনারা আসলে আপনারাই খুনি।’
কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাশেদ। পাশে দাঁড়িয়ে নির্মাতা তপু খান জানান, ‘এটা শুধু রাশেদ ভাই না, সাধারণ মানুষজনও আমাদের বলছে লাইভে আসতে। সবাই দলবল নিয়ে আসায় সত্যিকারের সহযোগিতাটা ব্যাহত হচ্ছে।’
রাশেদ বলেন, ‘সবাই আমাকে বলেছে যেন আমি লাইভ করি। আমি না চাইতেও লাইভটা করতে বাধ্য হলাম। পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে যে, বলার ভাষা নেই।’
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। অধিকাংশই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিশু শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।