বিধ্বস্ত বিমানটি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জনবসতি এড়িয়ে একটি ফাঁকা এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সোমবার দুপুরে কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার বিমানঘাঁটি থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে বিমানটি উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম বিমানটিকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন।’
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ মোট ২০ জন নিহত এবং অন্তত ১৬৪ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।