রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও এক শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘হায়দার আলী’ নামের দোতলা ভবনে বিমানবাহিনীর একটি বিমান আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর একে একে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। বিকেলে নিহতের সংখ্যা ১৯ জন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার হলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ২০ জনে।
সবশেষ রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইলস্টোন স্কুলের প্রাইমারি সেকশনের হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী (৪০), শিক্ষার্থী আফনান ফাইয়াজ (১৪) ও আব্দুল্লাহ সামিন (১৪) নামে দুইজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন।’
দুই শিক্ষার্থী মাইলস্টোনের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সেখানে তানভীর কবির নামে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। অন্যদিকে জুনায়েদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যায়।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ঢামেক বার্ন ইউনিট ও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ মারা গেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বিকেলে ১৮ জন নিহতের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন সিএমএইচে, সেখানে নিহত হয় ১১।
এছাড়া আএসপিআরের অনুযায়ী, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিহত ২, কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে নিহত ২, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে নিহত ২ ও উত্তরা আধুনিক হসপিটালে নিহত ১।
আপনার মতামত লিখুন :