বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাসস

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৯:২৫ এএম

২৩ জুলাই : কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি, রাতে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু

বাসস

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৯:২৫ এএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান। ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান। ফাইল ছবি

২০২৪ সালের ২৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং ৭ শতাংশ কোটার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। 

এর মধ্য দিয়ে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরির নিয়োগে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের ক্ষেত্রে এ বিধান কার্যকর হয়।

এদিন ষষ্ঠ দিনের মতো পুরো বাংলাদেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল। তবে রাতের দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। কিন্তু সবাই ইন্টারনেট পাননি। জরুরি সেবা, আর্থিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমসহ কিছু খাতকে প্রাধান্য দিয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।

২৩ জুলাইও সারা দেশে সাধারণ ছুটি ছিল। কারফিউ অব্যাহত থাকায় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল শুরু হয়। চলমান কারফিউ আরও শিথিল করে সরকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘চিরুনি অভিযান’ অব্যাহত রাখে। আগের দিন সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে আরও প্রায় ১ হাজার ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় অন্তত ৫১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এক সপ্তাহে (১৭-২৩ জুলাই) সারা দেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়ায়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার আরও ৩৮টি মামলা হয়। 

এদিন সরকারি-বেসরকারি অফিস ২৪ জুলাই (বুধবার) ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একইসঙ্গে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার দফা দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। দাবি মেনে নিলে সংলাপের রাস্তা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি ছিল- ইন্টারনেট চালু করতে হবে, কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরিয়ে নিয়ে আবাসিক হল খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদ নিখোঁজ রয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পরও সরকার দাবি  মেনে না নেওয়া আন্দোলন তীব্র হতে থাকে। ১৬ জুলাই সারাদেশে আন্দোলনে ৬ জন নিহত হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ লাভ করে। 

বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা, গুলি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একইদিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। টানা পাঁচ দিন রেল চলাচল বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই তেলবাহী ট্রেন চালু হয়।

এদিন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাউকে মামলায় জড়ানো হলে তাদের তথ্য যদি কোটা আন্দোলনকারীরা দেন, তাহলে তা অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে দেখবে সরকার।’

সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল খুলে দেওয়া যাবে না।’

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) তৎকালীন মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

Shera Lather
Link copied!