দুই দেশের বৈরী সম্পর্কের জেরে আগস্টে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে ভারত। এমনকি ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
তবে এসিসি সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি ঢাকায় সভা করার বিষয়ে এখনো অটল।
আগামী ২৪ ও ২৫ জুলাই ঢাকায় এসিসির এজিএমের জন্য নির্ধারিত সময়। সভার মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও পিসিবি ও বিসিসিআই কেউই তাদের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেনি।
এতে বিড়ম্বনায় পড়েছে সভার আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এসিসির পাঁচটি পূর্ণ সদস্য দেশের মধ্যে তিনটি দেশই (ভারতসহ) এই সভায় যোগ দিতে চাইছে না, যা সভার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মিরপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এজিএম নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তিনি বলেন, এসিসি একটা সংস্থা, এশিয়ার পাঁচটা পূর্ণ সদস্য এবং ২৫টা সহযোগী দেশ নিয়ে এটা কাজ করে। এসিসি আমাদের কাছে প্রস্তাব করেছিল, এজিএমটা (বার্ষিক সাধারণ সভা) আয়োজন করতে চাই কি না।
আমরা সেটাতে রাজি হয়েছি। এটা এসিসির প্রোগ্রাম। আমরা শুধু লজিস্টিক সাহায্য করব।
আজ (২৩ জুলাই) বিসিবি সভাপতির সঙ্গে মহসিন নাকভির একটি সভা রয়েছে। এই সভার আলোচ্য বিষয় নিয়ে বুলবুল জানান, পাকিস্তানের (পিসিবি) সভাপতি আসছেন।
উনি এখন এসিসির সভাপতি। যেহেতু এটা তার প্রোগ্রাম, তবে তার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়ানো যায় কি না এবং ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা (করব)।
ভারতসহ তিনটি পূর্ণ সদস্য দেশকে বাদ দিয়ে এসিসির সভা করলে ক্রিকেটীয় ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ কোনো সমস্যায় পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি সভাপতি বলেন, আমার মনে হয় না।
ক্রিকেট সবার ওপরে। আমরা শুধু আয়োজক। এর আগে আমরা কখনো আয়োজন করিনি। আমরা চেষ্টা করব একটা ভালো এজিএম যাতে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :