বিশ্বের পাসপোর্ট শক্তিমত্তা সূচকে তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট অবস্থান এখন ৯৪তম, যেখানে আগের অবস্থান ছিল ৯৭তম।
এই সূচকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা এখন বিশ্বের ৩৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এর মধ্যে কিছু দেশে সম্পূর্ণ ভিসামুক্ত, কিছু দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা এবং কিছু ক্ষেত্রে ই-ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়।
নতুন তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের অধিকারী দেশ হলো সিঙ্গাপুর, যার নাগরিকরা ১৯৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের নাগরিকরা ১৯০টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পান। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন- এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন।
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ যেসব দেশে
আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল: বাহামা, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে আইল্যান্ড, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, গিনি-বিসাউ, হাইতি, কেনিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সিচেলিস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, গাম্বিয়া।
এশিয়া ও আশপাশের অঞ্চল: ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর।
প্যাসিফিক ও ওশেনিয়া অঞ্চল: ফিজি, কুক আইল্যান্ড, কিরিবাতি, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাত, নুউয়ে, সামোয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনস, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, টুভালু, ভানুয়াত।
দক্ষিণ আমেরিকা ও আশপাশে: বলিভিয়া, গ্রানাডা।
ভ্রমণের আগে কী জেনে রাখা জরুরি?
এই দেশগুলোর অনেক ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিতে হয়। আবার কিছু দেশে ই-ভিসা অনলাইন আবেদন করে আগেই নিতে হয়। তাই যাত্রার আগে প্রত্যেক দেশের বর্তমান ভিসা নীতিমালা যাচাই করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :