চার দিনের বেশি সময় ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি, তথা সংঘাত বন্ধে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো শর্ত ছাড়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার প্রশংসা করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া, এ যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার অন্য যে বন্ধুদের ভূমিকা রয়েছে তাদেরও প্রশংসা করছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া উভয়ই সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে অসামান্য সীমান্ত নির্ধারণের নিষ্পত্তি অব্যাহত রাখবে। সীমান্তে উভয়পক্ষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য আক্রান্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে শান্ত ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের কাজ করবে।
শত বছরাধিক পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সংঘাত। সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।