প্রাথমিকের পড়াশোনার পদ্ধতিগত পরিবর্তনের দিকে সরকার মনোযোগ দিচ্ছে জানিয়ে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সব স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কমপক্ষে ১০০টি স্কুলে এ বছরের মধ্যেই ই-লার্নিং চালু হবে। ঢাকা চট্টগ্রামের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা প্রযুক্তির সহায়তায় এসব স্কুলে শিক্ষকতা করে সেখানকার শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করবেন।’
ভাষণে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য ধারাবাহিকভাবে পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে, বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এমনকি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য পদে সাড়ে ছয় হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে মন্তব্য কর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার কিছুদিন আগে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষকের বেতনের গ্রেড এক ধাপ বাড়িয়ে দশম গ্রেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।’
এ সময় তরুণদের জীবন ধ্বংস করে এমন কোনো রাজনীতি দ্বারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলুষিত হতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি বাবা-মায়েদের যেনো সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়ে আর কখনো শঙ্কায় থাকতে না হয় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।