ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫

নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ যে কোনো প্রয়োজনীয় খাতে অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগের দিন মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি নিয়েও তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরেকটু কমলে ভালো হতো। তবে ওরা মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বস্তি বলব না, তবে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ খুব খারাপ অবস্থায় নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক ও নিট পণ্য খাত খুব দ্রুতই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। তবে বস্ত্র খাতের বুনন (উইভিং) অংশ কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যতে নতুন করে দর-কষাকষির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হ্যাঁ, দর-কষাকষি হবে। ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের মনোভাব ইতিবাচক।

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনো স্বাক্ষর হয়নি। শুল্কহার হ্রাস, আমদানি নীতিমালা ইত্যাদি নিয়ে দুই পক্ষ নিবিড়ভাবে আলোচনা করছে। 

তিনি বলেন, এটি ডব্লিউটিও বা জাতিসংঘের মতো উন্মুক্ত দর-কষাকষি নয়। এখানে অনেক কৌশলগত আলোচনা হয় যা প্রকাশ করা যায় না।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়েও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, গত এক বছরে আমরা অনেকখানি ঘুরে দাঁড়িয়েছি। একে দেখতে হলে কেবল চোখ নয়, অন্তর্দৃষ্টিও থাকতে হয়।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে কিছুটা স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে এসেছে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। এটি এমন নয় যে ঘোড়ার রাশ টেনে এক ঝটকায় থামানো যাবে।

সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কিছু সংস্কার করেছি। আরও কিছু মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ব্যাংক রেজল্যুশন আইন, পুঁজিবাজার উন্নয়ন এবং এনবিআরের অধ্যাদেশ সংশোধন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।