আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, এ জন্য থাকবে প্রতীক-ভিত্তিক (সিম্বল) ব্যালট, যেখানে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের নবম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি।
কীভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি?
সানাউল্লাহ বলেন, প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর, প্রবাসীরা অনলাইনে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পারবেন। এরপর পোস্টাল ব্যালটে থাকা প্রতীক দেখে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ব্যালট সংগ্রহ ও বিতরণের কাজ করবে ডাক বিভাগ।
তিনি আরও জানান, ‘প্রবাসীদের কাছে সময় বাঁচাতে সিম্বল ব্যালট পাঠানো হবে। এই ভোট পদ্ধতিতে অংশ নিতে আগেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।’
তিন ক্যাটাগরিতে পোস্টাল ব্যালট
এবারের নির্বাচনে তিন ধরনের ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন:
- প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক
- কারাবন্দি ভোটার
- নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
এই পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নের জন্য সেপ্টেম্বর থেকেই ভোটার শিক্ষা ও প্রচারণা শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন হলে কী হবে
এ বিষয়ে কমিশনার বলেন, আদালতের আদেশে যদি শেষ সময়ে কোনো প্রার্থী পরিবর্তন হয়, তবে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আসনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে ভবিষ্যতে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আইনি ব্যবস্থার পরামর্শ দেন তিনি।
ব্যয় ও প্রকল্প পরিকল্পনা
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে খরচও উল্লেখযোগ্য বলে জানান সানাউল্লাহ। প্রতি পোস্টাল ব্যালট আনা-নেওয়ার খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা, আর ছাপানো ও প্রকল্প পরিচালনার জন্য ৪৮ টাকার একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। মোট এক লাখ ভোটারের জন্য আনুমানিক ব্যয় হবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা।
তরুণ ভোটারদের জন্য সুখবর
ভোটার তালিকা আইন সামান্য সংশোধনের ফলে, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব নাগরিক ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তাদের তালিকাভুক্ত করার সুযোগ থাকবে। এতে ১৮ থেকে ২০ লাখ নতুন তরুণ ভোটার যুক্ত হতে পারেন বলেও জানান তিনি।