প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশ হলো যুবসমাজ। এই যুবসমাজ জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
জাতীয় যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সোমবার (১১ আগস্ট) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশব্যাপী ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২৫’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর ১২ আগস্ট ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’-এর সাথে একই দিনে জাতীয় যুব দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের তারুণ্যদীপ্ত যুবসমাজকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫’-এর প্রতিপাদ্য ‘প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি’ অত্যন্ত যুগোপযোগী হয়েছে, যা বহুপাক্ষিক কূটনীতির মাধ্যমে আরও টেকসই, ন্যায়সংগত এবং উদ্ভাবনী বিশ্ব গঠনে যুবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্মপ্রত্যাশী যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ বহুমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুবদের নেতৃত্ব সৃষ্টি, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানকে বেগবান করার লক্ষ্যে সাভারে ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’-এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত যুবদের বিনা জামানতে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সব পর্যায়ে যুব ঋণের সিলিং বৃদ্ধি করা হয়েছে। তরুণদের কর্মমুখী ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতেও সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবদের ক্ষমতায়ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সবাই আরও বেশি কর্মদ্যোগী হবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।