ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

বর্তমানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১১:০৭ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকারবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশে স্থিতিশীল হয়েছে মানবাধিকার পরিস্থিতি। তবে এখনো কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকারবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন রাষ্ট্রপতি।

গত সরকারের সময় উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে ছিল—বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন বা অমানবিক আচরণ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিদেশে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় গুরুতর বিধিনিষেধ, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা মামলা, সেন্সরশিপ, শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতায় বাধা, শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের ওপর সহিংসতা বা হুমকি এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে নিকৃষ্ট রূপের ব্যাপক উপস্থিতি।

বিগত সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির অসংখ্য খবর পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এর জেরে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করা ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আগের সরকারের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সময় এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ ছিল খুবই সীমিত। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত তৎকালীন সরকারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।

মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই ও আগস্টে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এসব অপরাধের বিচারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সহযোগিতায় দেশের সাধারণ বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল—দুটিই ব্যবহার করে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনে।