বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

সিরাজগঞ্জে রেলপথ অবরোধ, আটকা ৮ ট্রেন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

সিরাজগঞ্জে রেলপথ ব্লকেড আটকা ৮ ট্রেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে রেলপথ ব্লকেড আটকা ৮ ট্রেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয়প্রান্তে আটটি ট্রেন আটকা পড়েছে। এর মধ্যে সাতটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেন রয়েছে। অবরোধের কারণে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি) এখনো অনুমোদিত হয়নি। আট বছর পেরিয়ে গেলেও ক্যাম্পাস নির্মাণের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় তারা ক্ষুব্ধ।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোছা. হাসিনা খাতুন জানান, ‘রেলপথ অবরোধের কারণে  এরই মধ্যে আটটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে।’

ট্রেনগুলো হলো- চিত্রা এক্সপ্রেস (খুলনা থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদীতে আটকা), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (ভাঙুড়া স্টেশনে), চিলাহাটি এক্সপ্রেস (শরৎনগর স্টেশনে), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (লাহিড়ী মোহনপুরে), একতা এক্সপ্রেস (টাঙ্গাইলে),  ধুমকেতু এক্সপ্রেস (জামতৈলে), রংপুর এক্সপ্রেস (ইব্রাহিমাবাদে), একটি তেলবাহী মালবাহী ট্রেন (চাটমোহরে)।

তিনি আরও জানান, এসব ট্রেন ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আবার উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রা করার কথা থাকলেও রুট অবরোধের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে রেলসেবায় চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ১০ আগস্ট হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না আসায় তারা আবারও রেলপথ অবরোধে নেমেছে।

তারা বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই- এ দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ডিপিপি অনুমোদন হয়নি। এর প্রতিবাদে আগেও কয়েকবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ১৯ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ কর্মসূচি শেষে সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেও ৬ মাসেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আন্দোলন আবারও শুরু হয়েছে। ২৬ জুলাই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ বর্জনের মাধ্যমে নতুন করে কর্মসূচির সূচনা করে শিক্ষার্থীরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!