বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাসস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

১০ লক্ষাধিক কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

বাসস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১০ লক্ষাধিক প্রিসাইডিং পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের ইলেক্টোরাল ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৩ ধরনের কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনসংক্রান্ত মূল প্রশিক্ষণটা হবে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের। এদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। বিভিন্ন গ্রুপে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভোট গ্রহণের চার-পাঁচ দিন আগে শেষ হবে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন। বিগত তিনটি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবার যতটুকু পারি ফ্রেশ লোক দিয়ে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করা হবে। ফ্রেশদের ইলেকশনের ধারণা কম হবে। সুতরাং তাদের প্রশিক্ষিত করতে ট্রেনিংটা আমাদের আরও ইনডেপথ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় চ্যালেঞ্জ ফেইস করেছি। কাজেই আমরা নতুন নতুন লোক নেওয়ার জন্য চেষ্টা করব। যাতে একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির বিষয়ে ইসি ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ী তপশিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ‘ট্রেনিং অব কোর ট্রেনিং’ (টিওটি) সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নির্দেশনা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে টিওটি ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

টিওটি ট্রেইনারদের মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ ও নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সব কর্মকর্তারা, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা/সহকারী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও অন্য বিভাগের কর্মকর্তা। পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) প্রদান করা হবে। এ সময় ৩ হাজার ৬০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, কমিশন ইতোমধ্যে তাদের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তা (বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কর্মকর্তা) ও সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ/ব্রিফিংয়ে যোগদানের অনুমতি প্রদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদেরও প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং করা হবে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর মাঠ পর্যায়ে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে অনলাইনে প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং করা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ বা ব্রিফিং দেওয়ার বিষয়টিও প্রস্তাবনায় রয়েছে।

আসাদুজ্জামান জানান, ভোট গ্রহণের পাঁচ থেকে সাত দিন পূর্বে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ বা ব্রিফিং দেওয়া হবে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ নির্বাচনের পূর্বের দুই দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পর দু’দিন মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞে যারা জড়িত তারা যদি প্রপার ট্রেনিংপ্রাপ্ত না হয় তাহলে নির্বাচনে সমস্যা হতে পারে। আমরা চাচ্ছি ন্যূনতম বিচ্যুতি হবে না। সবাই তার কাজটা যথাযথভাবে করবে। আইন ও বিধি অনুযায়ী করবে এবং সততা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। এটা যাতে নিশ্চিত করা যায়, সে জন্যই এই প্রশিক্ষণ।

Link copied!