পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনের লক্ষ্যে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। আগামীকাল (শনিবার) দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর মতো প্রধান শহরগুলোতে জামাত ও শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন বৃহৎ মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে, যেখানে বড় সমাবেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর।
এরই মধ্যে দেশের সংবেদনশীল স্থানগুলোতে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কার্যকর জনসমাগম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পদক্ষেপ।
-20250905144342.webp)
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস হিসেবে হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে দিনটি পালন করা হয়। মানবজাতির মুক্তি ও শান্তির বার্তা নিয়ে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে মিলাদ মাহফিল, ধর্মীয় আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত।
