গাজীপুরের টঙ্গীতে সাহারা মার্কেটে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের ঘটনায় আরও এক ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন। তার নাম খন্দকার জান্নাতুল নাঈম। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর (অফিসার) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল চারজনে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ২২ সেপ্টেম্বর কেমিক্যাল কারখানায় আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ, ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা, ২৬ সেপ্টেম্বর আল-আমিন নামের এক শ্রমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, টঙ্গী কেমিক্যাল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া খন্দকার জান্নাতুল নাঈম চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে মারা যান। তার শরীর ৪২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোল্লার টেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং এক সন্তানের জনক। তার বাবা খন্দকার মোজাম্মেল হক ও মা দেলোয়ারা বেগম।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন