ঢাকা বুধবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ দায়িত্বশীলদের বক্তব্য পার্বত্য অঞ্চল অস্থিতিশীল করেছে: ঐক্য পরিষদ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ‘উসকানিমূলক বক্তব্য’ খাগড়াছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

খাগড়াছড়িতে চলমান জাতিগত সহিংসতা অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের কাছে জোর দাবিও জানিয়েছে ধর্মীয় বৈষম্যবিরোধী মানবাধিকার সংগঠনটি।

বুধবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান।

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আদিবাসী কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের জন্য দায়ী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার না করে বরং খাগড়াছড়ির নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ইতোমধ্যে ৩ জন নিহত হয়েছে, অন্যূন ১৫ জন আহত হয়েছে, ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে, ১৫টি বাড়িঘর ও ৬০টি দোকানপাট এবং ১৩টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৭টি দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে।’

‘এহেন দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উসকানিমূলক বক্তব্য খাগড়াছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে,’ বিবৃতিতে যোগ করা হয়।

বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্যের সমন্বয়ে কর্তব্যরত বা অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে অনতিবিলম্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিও করেছে ঐক্য পরিষদ।

একইসঙ্গে ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন এক কোটি টাকা করে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন পঁচিশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সরকারি খরচে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।